কাঁচা মরিচের গুণাগুণ
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম,
বাকৃবি সংবাদদাতা:বিভিন্ন সবজির পুষ্টিগুণ বিভিন্ন রকম। কোনোটা আবার ওষধি গুণ
সম্পন্ন। তেমনি একটি সবজি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আমাদের প্রতিদিনের
খাবার তৈরিতে একটি অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে মরিচ। ঝাঁঝ আর ঝালের
কারণে খাবারের স্বাদ বাড়াতে আমরা মরিচের ব্যবহার করি। ছোট সবুজ এই
কাঁচা মরিচ ভিটামিন সি’র বড় উৎস ।
কাঁচা মরিচ একটি কার্যকর এন্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের বিভিন্ন
প্রয়োজনে অত্যন্ত জরুরি। ক্যান্সার নিরাময় ও মানসিক অবসাদ কমাতেও মরিচের
ভূমিকা রয়েছে। ত্বকের ক্ষত সারানো, রক্তনালী ও তরুণাস্থি গঠনে ভিটামিন সি
সমৃদ্ধ কাঁচা মরিচ প্রয়োজনীয়।
এছাড়াও বর্তমানে আমরা বাড়তি মেদ নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত এবং
সচেতন। আপনি জানেন কি মরিচে চর্বি পরিমাণ কত শতাংশ থাকে? হ্যাঁ,
মরিচে থাকে শূন্য শতাংশ চর্বি। জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যায়াম না করেও
শুধুমাত্র কাঁচা মরিচ খেয়ে আমরা শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে পারি। কাঁচা
মরিচ শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
খাওয়ার সময় মরিচের ঝাল স্বাদের কারণে আমদের প্রচুর ঘাম হয়, আর এটি
আমাদের জমানো ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
তাই ঝালের কারণে একে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। প্রতিদিন আমাদের খাদ্য
তালিকায় অন্তত ১টি কাঁচা মরিচ সঙ্গী হতেই পারে।
করলা তিতা হলেও উপকারী
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
করলা স্বাদে তিতা, তবে উপকারী অনেক। এশিয়া
অঞ্চলে হাজার বছর ধরে এটি ওষুধি হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। দক্ষিণ আমেরিকার
আমাজান অঞ্চলের আদিবাসীরাও বহু বছর ধরেই করলাকে ডায়াবেটিস, পেটের গ্যাস,
হাম ও হিপাটাইটিসের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। ব্যবহার করে আসছে উচ্চ
রক্তচাপ কমাতে, ম্যালেরিয়া জ্বরে এবং মাথা ব্যথায়ও।করলার আছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালশিয়াম আর কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট লৌহ, প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আঁশ। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এন্টি অক্সিডেন্ট; বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে, শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে। আছে লুটিন আর লাএকাপিন। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লাইকোপিন শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট।
করলা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমায়। করলা এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইম বা আমিষ বৃদ্ধি করে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোর সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের সুগার কমে যায়।
এছাড়াও করলা রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় কিন্তু ভারো কলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায়। রক্তচাপ কমায় ও ক্রিমি নাশ করে। ক্যান্সাররোধী লিভার ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, মেলানোমা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
ল্যাক্সেটিভ পায়খানাকে নরম রাখে, কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে।
ক্লান্তি দূর করে পুদিনাপাতা
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের
নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। পুদিনাপাতার ইংরেজি
নাম মিন্ট।সালাদের বাটিতে এটি ভীষণ পরিচিত নাম। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও
ভিটামিন ‘এ’ দ্বারা পরিপূর্ণ পুদিনাপাতা। এর দ্বারা ক্লান্তি ও অবসাদ দূর
হয়। এছাড়া পুদিনাপাতায় আছে নানা গুণ।অতিরিক্ত গরমে ছোট-বড় প্রায় সবারই খাবারে বদহজম বা ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা যায়। এই পাতা পেটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে।
বাতাস, নোংরা খাবার, নোংরা পরিবেশের মাধ্যমে বংশবিস্তার ঘটে কৃমির। কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে পুদিনাপাতা। অতিরিক্ত জ্বর, বড় কোনো অপারেশন, ডায়রিয়া, দীর্ঘদিন ধরে বমির পর বেশির ভাগ রোগীর মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পুদিনাপাতা এ ক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনবে মুখের স্বাদ।
পিষে, ধনেপাতার মতো তরকারিতে ছিটিয়ে বা কাঁচা সালাদের সঙ্গে খাওয়া যায়। মাছ, মাংস বা সবজির খাবারে এই পাতা আনে বাড়তি স্বাদ এবং দেহের জন্য প্রয়োজনীয় লবণগুলোকে সরবরাহ করে রক্তের মধ্যে। দেহের জন্য ক্ষতিকর অণুজীবগুলো ধ্বংস করে।
লাউয়ের ঔষধি গুণ খুব বেশি
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
অতি পরিচিত লাউয়ের জন্ম কিন্তু আফ্রিকায়। আমাদের দেশে লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু লাউ নয়, লাউয়ের বাকল, লতা, এমনকি পাতাও খাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে রয়েছে জলীয় অংশ ৯৬.১০ গ্রাম, আঁশ ০.৬ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ১২ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ২.৫ গ্রাম। খনিজ উপাদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম ২০.০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম ছাড়াও সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স সি ছাড়াও এতে ফলিক এসিড, ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আছে।
ওজন বাড়াতে মধু খান
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
যারা ওজন বাড়ানোর জন্য রাত-দিন শুধু চেষ্টা করে যাচ্ছেন, মধু তাদের জন্য অনেক কার্যকরী হতে পারে।
শসার খাদ্যগুণ
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
শসা গরমের সময় শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। শসার উপকারী দিক নিয়ে কয়েকটি তথ্য।* শসা শরীরের ফাইবার ও ওয়াটার ইনটেক বাড়াতে সাহায্য করে। গরমের দিনে শসার রসের সঙ্গে সেলোরির জুস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বডি টেম্পারেচার নরমাল রাখতে সাহায্য করে।
* কিডনি, ইউরিনারি ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় ডায়েটে শসা খুবই উপকারী। শসা বা শসার রস ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী। * শসার রস আর্থর্্রাইটিস, এগজিমা, হার্ট, ফুসফুসের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে রাখতে পারেন। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। ইউরিক এসিড থেকে ব্যথার সমস্যা হলে অনেক কাজে দেবে। * শসা খুবই ভালো কাজ করে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য। শসার স্লাইস ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। আর শসার জুস ত্বকের ক্লান্তি কাটাতে খুবই উপকারী। মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতে, দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় সাহায্য করে। এটি খুবই উপকারী চুলের জন্য।
স্বর্গীয় সুধা রুহ্ আফজা
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
অমৃত সুধা শব্দটির তাৎপর্য এখন মানুষ প্রায়
ভুলেই গেছে। শব্দটি সর্বকালের সর্বোত্তম ও অনিন্দ্য সুন্দর নাম রুহ্
আফজার ক্ষেত্রেই একমাত্র প্রযোজ্য। রুহ্ আফজা এমনই একটি টকটকে লাল বর্ণের
পানীয় যা শতাব্দীব্যাপী সুস্বাদু, প্রশান্তিদায়ক ও সতেজ কারক পানীয় হিসেবে
সারা বিশ্বের মানুষের মন জয় করেছে।হামদর্দ ১৯০৭ সালে রুহ্ আফজা প্রথমে ভারতে উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করে। বর্তমানে হামদর্দ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রুহ্ আফজা উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করছে। রুহ্ আফজা গোলাপ, ধনিয়া, তরমুজসহ মূল্যবান ফল , ফুল ও ঔষধি উদ্ভিদের চমৎকার সমন্বয় প্রস্তত এক অনন্য পানীয়। রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরের প্রচন্ড গরমে বরফ শীতল পানিতে এক চুমুক রুহ্ আফজা পান করলেই মানুষ অনুভব করবে কতটা সুস্বাদু, প্রশান্তি ও আন্দদায়ক পানীয়। রুহ্ আফজা তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের হারানো শক্তি ফিরিয়ে দিবে এবং করবে চাঙ্গা।
এ বিষয় হামদর্দ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সেলস্ ম্যানেজার মোঃ আবু ছিদ্দিক জানান, রুহ্ আফজা প্রাকৃতিক উৎপাদনে তৈরী একটি আদর্শ পানীয়। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে রুহ্ আফজা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকরী স্বাস্থ্যকর পানীয়। এত কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নেই। বাজারে কার্বনেট জাতীয় পানীয় প্রচুর রয়েছে যাতে থাকে ক্যাফেইন নামক ক্ষতিকর পদার্থ। এ সকল পানীয় দীর্ঘদিন সেবন করলে হৃদরোগ, আসক্তি, সৃষ্টি, প্রসবকালীন ক্রটি, লিভার ও কিডনির ক্ষতিসাধন ও নানা রকম জটিল সমস্যা দেখা দেয়। রুহ্ আফজা সেবনে মদকাসক্তি দূর হয়। রুহ্ আফজা রক্তের বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে ও বাড়তি পুষ্টি সরবরাহ করে শরীরকে রাখে তরতাজা, সুস্থ্য, সবল, প্রাণবন্ত ও রোগমুক্ত।
ফল খাবেন খালি পেটে
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
ফল কখন খাবেন এবং কীভাবে খাবেন তা জানা
গরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য করলে দেখবেন বাসা বাড়িতে বা কোনো পার্টিতে মূল
খাবারের পর ফল খেতে দেয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ মূল খাবারের পর ফল
খেতে অভ্যস্ত।কিন্তু এটা একটা ভুল পদ্ধতি। ফল খেতে হবে খালি পেটে। খালি পেটে ফল খেলে তা আপনার দেহের আন্ত্রিক পদ্ধতি বিষমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা আপনাকে যেমন শক্তি যোগাবে তেমনি ওজন হ্রাস ও অন্যান্য দৈহিক তত্পরতায় যথেষ্ট সহায়তা করবে।
মনে করুন আপনি প্রথমে দুই টুকরো রুটি খেলেন এবং তারপর এক টুকরো ফল খেলেন। ফলের টুকরো পাকস্থলি হয়ে সরাসরি অন্ত্রে নেমে যেতে প্রস্তুত, কিন্তু তা হয় না। আসলে তেমনটি হতে দেয়া হয় না। ইতিমধ্যে আপনার গৃহীত খাবার পাকস্থলিতে পচন ধরে এবং গাজিয়ে এসিডে পরিণত হয়। যে মুহুর্তে আপনার খাওয়া ফল পাকস্থলিতে এই এসিড এবং পাচক রস এর সংস্পর্শে আসে, আপনার খাওয়া পুরো খাদ্য নষ্ট হতে শুরু করে।
সুতরাং এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে খালি পেটে ফল খান অথবা মূল খাবারের আগেও খেতে পারেন। আপনার অভিজ্ঞতা থেকে হয়ত দেখছেন বা শুনে থাকবেন যে, যখনই মূল খাবারের পর কেউ তরমুজ খান, তখন পেট স্ফীত হয়। তেমনি কলা খাবারের পর মনে হয় পায়খানার খুবই বেগ পেয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এ সমস্যার কোনোটিরই মুখোমুখিই হবেন না যদি আপনি খালি পেটে ফল খান।
আর খাবার পর ফল খেলে সেগুলো খাদ্যের পচন ক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে গ্যাস তৈরি করে, যার ফলে আপনার পেট স্ফীত হয়ে উঠতে পারে।
কামরাঙা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
গবেষকরা বলেছেন, দৃষ্টিনন্দন ফল কামরাঙা ত্বকের
উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। কারণ এটা ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। পাশাপাশি এই
ফল কাজ করে চুল, ত্বক, নখ ও দাঁতের সুরক্ষায়।গবেষণা করে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ভরা পেটে (অবশ্যই যাদের কিডনির কোনো অসুখ নেই) কামরাঙা খান, তাদের চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল, ভঙ্গুরহীন হয়। সমসাময়িক সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কামরাঙা। অতিরিক্ত মোটা মানুষের দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এই ফল।
তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক গাঁদাফুলের নির্যাস
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
গাঁদাফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এক ধরনের বিশেষ ওষুধ বার্ধক্যের অন্ধত্ব দূর করে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এই ফুলের নির্যাসে আছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এজ-রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’র (এএমডি) বিরুদ্ধে লড়াই করে।
এজ-রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, মানুষ চিনতে ভুল করা, রঙের পরিচিতি ভুলে যাওয়া।
বৃটেনের কোভেন্ট্রির চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুসান বোয়ারস জানান, গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি ওষুধ খেয়ে এ পর্যন্ত শতাধিক পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তির ম্যাকুলার শেড এবং দৃষ্টি শক্তি তীক্ষ্ম হয়েছে।
সুসান ‘ডেইলি এক্সপ্রেস’কে বলেন, “অনেকেই দুর্বল ম্যাকুলার শেডের কারণে ৫০’এ পৌঁছার আগেই অন্ধত্বের শিকার হয়। কিন্তু গাঁদা ফুলের নির্যাসে এমন এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া গেছে যা অন্ধত্ব রোধে দারুণ সক্রিয়।”
তিনি আরো বলেন, “বার্ধক্যের কারণে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে থাকে। অনেকে আবার পুরোপুরি অন্ধও হয়ে যায়। কিন্তু এই গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি ওষুধ খেয়ে অনেকের দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ম হচ্ছে এবং এজ-রিলেটেড ম্যাকুলের ডিজেনারেশন(এএমডি) প্রতিরোধ করে।”
এদিকে দুই বছর ধরে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি ওষুধ খাচ্ছেন জ্যানেট টেরন (৬৪)। তিনি এ ব্যাপারে বলেন, “ওষুধ খাওয়ার আগের এবং পরের পার্থক্যটা বিস্ময়কর।
গাজর শরীরের জন্য অনেক উপকারী
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
যারা এক বেলা মোগলাই খানার বদলে সালাদের নাম
শুনলেই মুখ ফ্যাকাশে করে ফেলেন তাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ। কারণ, মোগলাই
খাবার তৃপ্তি তো দেবে, কিন্তু আপনি যদি সৌন্দর্য্য সচেতন হন তাহলে সালাদ
বেছে নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সেই সালাদ যাতে গাজরের পরিমাণ থাকবে
বেশি। এই গাজরই আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয়, ত্বক রাখবে পরিষ্কার এবং
উজ্জ্বল।সম্প্রতি ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই তথ্য জানালেন।
গবেষকরা জানান, গাজরে আছে এক ধরনের হলুদ বর্ণের রঞ্জক পদার্থ, এর নাম
ক্যারোটিনোয়েডস। এই উপদানটি আমাদের ত্বক কোষে পৌঁছে, একে পরিষ্কার করে এবং
সেই রঞ্জক পদার্থের আভাই আমাদের ত্বকে পরিলক্ষিত হয় এবং কম সময়েই আকর্ষণীয়
হয়ে ওঠা যায়।এই গবেষণার প্রধান ইয়ান স্টেফেন জানান, নিয়মিত গাজর খেলে দুই
মাসের মধ্যেই ত্বকে এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়।তিনি বলেন, “আজকাল
কোনো তরুণ-তরুণীকে যদি গিয়ে বলি সবজি খাও, তা না হলে ৪০ বছর বয়সে গিয়ে
স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তখন, তারা এক গাল হেসে উত্তর দেবে বয়স ৪০’র
কাছাকাছি আগে যাক এরপর তা দেখা যাবে। কিন্তু আমি বলি, সুদর্শন কিংবা
আকর্ষণীয় হতে হলে এই খাবারটি অত্যাবশ্যক তা হলে দেখবেন কেউ আর দেরি করবে
না।”ইয়ান আরো বলেন, “এই ফাস্ট প্রজন্মের খাবারের ধরন দিন দিন বিগড়ে
যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে তাদের ত্বকে। তাই, তাদের আরো বেশি ফল ও সবজির
দিকে ঝুঁকতে হবে।বাদাম কেনো খাবেন
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
বাদাম কী ওজন কমানোর কোন গোপন রহস্য। বেশ কয়েকটি
জরিপে বেশি পরিমাণ বাদাম খাওয়া (দিনে ২/৩ বার) এবং ওজন কমে যাওয়ার মধ্যে
একটি সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে। বেথ ইজরায়েল মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা ২০১০
সালে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ছোট একটি জরিপ পরিচালনা করেন। এতে দেখা যায়
নাস্তার সময় কিছু আখরোট খেলে দুপুরের খাবার সময় পেট ভরাভরা লাগে, ফলে কম
খাওয়া সম্ভব হয়। ক্যালরি কম খাওয়া হলে ওজন হ্রাসে সহায়তা হয়। বাদাম খেলে
যেহেতু পেট ভরাভরা লাগে, তাই তো কম ক্যালরি খাওয়ার ব্যাপারে সহায়ক হবে।
বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও প্রোটিন এবং এর চর্বির প্রায় পুরোটাই
অসম্পৃক্ত ধাচের অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর। এতে ভিটামিন বেশি না পাওয়া গেলেও
পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সহ প্রয়োজনীয় আরো
কিছু খনিজ এতে রয়েছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ যারা করেন, তারা ক্যালরি বেড়ে
যাওয়ার ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। বাদামে শর্করা সামান্যই
আছে। ফলে বাদাম খেলে ওজন বাড়বে না। ১.৫ আউন্স বাদামে বিদ্যমান পুষ্টি
(গ্রাম হিসেবে) : সাধারণ বাদাম, ক্যালোরী ২৪৯ গ্রাম, ফ্যাট ২১.১ গ্রাম,
প্রোটিন ১০.১ গ্রাম, পেস্তা বাদাম- ক্যালোরী ২৪৩ গ্রাম, ফ্যাট ১৯.৬ গ্রাম,
প্রোটিন ৯.১ গ্রাম, বিদেশী বাদাম- ক্যালোরী ২৫৪ গ্রাম, ফ্যাট ২২.৫ গ্রাম,
প্রোটিন ৯.৪ গ্রাম, বড় বাদাম- ক্যালোরী ২৭৯ গ্রাম, ফ্যাট ২৮.২ গ্রাম,
প্রোটিন ৬.১ গ্রাম, কাজু বাদাম- ক্যালোরী ২৪৪ গ্রাম, ফ্যাট ১৯.৭ গ্রাম,
প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম, বাদুর বাদাম- ক্যালোরী ২৭৫ গ্রাম, ফ্যাট ২৬.৫ গ্রাম,
প্রোটিন ৬.৪ গ্রাম, আখরোট- ক্যালোরী ২৭৮ গ্রাম, ফ্যাট ২৭.৭ গ্রাম, প্রোটিন
৬.৫ গ্রাম, ম্যাকাড্যামিয়াস- ক্যালোরী ৩০৫ গ্রাম, ফ্যাট ৩২.৪ গ্রাম,
প্রোটিন ৩.৩ গ্রাম, পেক্যান্স- ক্যালোরী ৩০২ গ্রাম, ফ্যাট ৩১.৬ গ্রাম,
প্রোটিন ৪.০ গ্রাম।আঁশযুক্ত খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
গ্রীনবাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম:
আঁশযুক্ত এবং শস্যকণা থেকে তৈরি খাবার
কোলোরেকটাল বা বোয়েল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সম্প্রতি লন্ডনের ইম্পেরিয়েল
কলেজের এক গবেষণায় এ তথ্য জানা যায়। বিবিসি।গবেষকরা তাদের গবেষণায় দেখতে পান, দিনে যদি ১০ গ্রাম আঁশযুক্ত এবং শস্যকণা জাতীয় খাবার খাওয়া যায় তাহলে বোয়েল ক্যানসারের ঝুঁকি ১০ শতাংশ কমে যায়। কিন্তু এর আগে তাদের পরিচালিত সব গবেষণায় আঁশযুক্ত ফল ও শাকসবজি খেলে এ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ক্যানসার বিষয়ক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়েল কলেজকে পুনর্বার গবেষণা চালানোর অনুরোধ জানালে সর্বশেষ দু’বছর ধরে এ গবেষণা চালান গবেষকরা। সর্বশেষ এ গবেষণায় তারা বোয়েল ক্যানসারের সঙ্গে আঁশযুক্ত খাবারের একটি যোগসূত্র খুঁজে পান। তারা দেখতে পান, বেশি করে আঁশযুক্ত ফলমূল ও শস্যকণা থেকে তৈরি খাবার যেমন রুটি ও ধূসর রংয়ের চালের ভাত খেলে বোয়েল ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
তা ছাড়া এসব খাবার খেলে হূদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার মতো সমস্যা থেকেও দূরে থাকা যায়। ফলে শরীর থাকে ঝরঝরে, সুস্থ ও সুন্দর। গবেষক দলের প্রধান ডাগফিন অনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা আঁশযুক্ত ও শস্যকণা জাতীয় খাবারের সঙ্গে বোয়েল ক্যানসারের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছি। কাজেই কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই যে, এ জাতীয় খাবার বোয়েল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। দিনে কম পরিমাণে হলেও আপনি যদি এসব খাবার খান তাহলে এ রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। কারণ হূদযন্ত্রের অনেক অসুখ-বিসুখও তাড়াবে এসব খাবার।
No comments:
Post a Comment